সামান্য পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে বাড়ির গুরুজনেরা কপালে দইয়ের ফোঁটা লাগায়। বলা হয় সেটা মঙ্গলের এর প্রতীক। এরকম আরও অনেক ঐতিহ্য ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস আছে আমাদের মধ্যে। ঠিক তেমনি মহাকাশচারীদের মধ্যেও কিছু জানা অজানা ঐতিহ্য ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস রয়েছে যেমন ধরুন প্রথম মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন এমন লোকের সন্ধান করা বা এরকম আরও অনেক কিছু।
মহাকাশচারীদের জন্য, সে ব্যক্তিটি ছিলেন ইউরি গাগারিন। ইউরি রকেটে যাওয়ার সময়, চিফ ইঞ্জিনিয়ার তাঁর পিছনে একটি স্বশব্দে আঘাত করেছিলেন। এই পেছনে স্বশব্দে আঘাত করার ব্যাপারটা আজও অনুসরণ করা হয়। ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল গ্যাগারিন তার ফ্লাইটের আগে, লঞ্চপ্যাডে নিয়ে যাওয়া বাসের পিছনের টায়ারে একটি ‘ফুটো’ করেছিলেন। আর এই অন্ধবিশ্বাস টি আজকের মহাকাশচারীরাও অনুসরণ করে থাকেন।
মহাকাশচারীদের আরেকটি অন্ধবিশ্বাস, যদিও এটি ইউরির সাথে দেখা করা না, এটি হ’ল মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার ঠিক আগের রাতে “হোয়াইট সান অব দি ডেসার্ট” ছবিটি দেখা। আরও একটি সাম্প্রতিক অন্ধবিশ্বাস হ’ল একজন রাশিয়ান অর্থোডক্স প্রিস্ট মহাকাশচারীদের দল্কে জল ছিটিয়ে আশীর্বাদ করা।
নাসার মহাকাশচারীদের কাছে অন্ধবিশ্বাস গুলি অ্যালান শেপার্ডকে ঘিরে। অ্যালান তার উড়ানের দিন, প্রাতঃরাশের জন্য স্ক্রাম্বলড এগ ও স্টেক(মাংসের বা মাছের পুরু ফালি), তাই বেশিরভাগ মহাকাশচারীরা আজও উড়ানের আগে এই প্রাতঃরাশ করে থাকেন।
তবে উপরিউক্ত অন্ধবিশ্বাস গুলি ছাড়াও নিজের শরীরের দিকেও যথেষ্ট সচেতন থাকেন। যাত্রা শুরুর আগে বেশ কয়েকটি দিন মহাকাশচারীদেরকে পৃথক করে রাখা হয়। যাতে তাদের উড়ানের সময় ঠান্ডা বা অন্যান্য কারনে রোগে অসুস্থ না হয়ে পড়েন।