বিশ্বের সবচেয়ে অকেজো পাসপোর্ট কোনটি?

“ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট” হল এমন একটি পাসপোর্ট, যার স্বীকৃতি পৃথিবীর কোন দেশেই নেই। তবুও কয়েক হাজার লোক এখনও এই পাসপোর্টটির অধিকারী এবং বিদেশে ভ্রমণের সময় এটি বৈধ পাসপোর্ট হিসাবে ব্যবহার করার দাবি করে, যদিও তা সত্য না।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ইস্যু করা ঐতিহ্যবাহী পাসপোর্টগুলির মত মেশিন রিডেবল ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট হল এই “ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট”। এই “ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট”, ওয়ার্ল্ড সার্ভিস অথরিটি নামে পরিচিত একটি ওয়াশিংটন ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। ওয়েবসাইট থেকে দশ বছরের পাসপোর্ট প্রায় $১০০ ডলারে কেনা যায়।

পাসপোর্টটি প্রথম 1944 সালে আসে, যখন গ্যারি ডেভিস, একজন প্রাক্তন ব্রডওয়ে অভিনেতা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্তন বোমারু বিমানের চালক, তার মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন এবং নিজেকে “বিশ্বের নাগরিক” হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। 1953 সালে মাইনের, ইলওয়ার্থে, ডেভিস বিশ্বের নাগরিকদের জন্য “বিশ্ব সরকার” প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।

১৯৫০ এর দশকে “ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট” সর্বপ্রথম জনগণের কাছে প্রবর্তিত হয়েছিল। রাষ্ট্রবিহীন মানুষ এবং শরণার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করতে পারে সেই কারনে “ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট” প্রবর্তিত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ এর অনুসারে এই পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট, যার দারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে স্বাধীনভাবে ভ্রমণের আধিকার উপস্থাপন করে।

এটি পুরোপুরি অস্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, ওয়ার্ল্ড সার্ভিস অথরিটি ওয়েবসাইটটি ১৮৩ টি দেশ তালিকাভুক্ত করেছে। এটি আরও দাবি করে যে মুষ্টিমেয় দেশগুলি সরকারীভাবে পাসপোর্টটি স্বীকৃতি দিয়েছে।