প্রতি বছর মা দুগ্গা তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসেন। আর এই আগমন ও গমন নির্ভর করে বিশেষ কিছু জানবাহনের ওপর। শাস্ত্রে মায়ের আগমন বা গমনের জন্য নানা ধরনের জানবাহনের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন দোলা, নৌকা, হাতি, ঘোড়া। প্রতি বছর পূজার আগে আমরা জানতে পারি মায়ের আগমন ও গমন কীসে।
আবার এই আগমন বা গমন কীসে হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে কি ফল হতে পারে তাও আমরা জানতে পারি। যেমন ধরুন মা যদি দোলায়া আসেন তবে তার ফল হয় মড়ক, আবার ধরুন গজে গমন হলে তার ফল হয় শষ্যপুর্ণা বসুন্ধরা। পাঁজি ঘেঁটে আমরা জানতে পারি আগমন ও গমন কীসে। কিন্তু কিছু সহজ নিয়ম জানা থাকলে, আপনিই নিজেই জানতে পারবেন, কোন বছর মা কীসে আসছেন।
মায়ের আগমন হয় সপ্তমীতে, আর দশমীতে মা আবার ফিরে যান। এই দুদিন মানে সপ্তমী ও দশমী সপ্তাহের কোন বারে পড়ছে, তা দেখে আপনি বলে দিতে পারেন মায়ের কীসে আগমন বা গমন।
‘রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ।
গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে।।’
‘রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া’
অর্থাৎ সপ্তমী অথবা দশমী যদি রবিবার বা সোমবার হয় তবে মায়ের আগমন বা গমন হবে গজে(হাতিতে)।
‘ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ’
অর্থাৎ সপ্তমী অথবা দশমী যদি মঙ্গলবার বা শনিবার হয় তবে মায়ের আগমন বা গমন হবে ঘোটকে (ঘোড়ায়)।
‘গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং’
অর্থাৎ সপ্তমী অথবা দশমী যদি বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার হয় তবে মায়ের আগমন বা গমন হবে দোলায়।
‘নৌকায়াং বুধবাসরে’
অর্থাৎ সপ্তমী অথবা দশমী যদি বুধবার হয় তবে মায়ের আগমন বা গমন হবে দোলায়।
এই সাতদিনের হিসেব জানা থাকলে, মায়ের কীসে আগমন বা গমন, পাঁজি ছাড়াই আপনি জেনে নিতে পারবেন। যেমন ২০২০ সালে সপ্তমী শুক্রবার। সুতরাং মায়ের আগমন দোলায়। ঠিক তেমনি ভাবে দশমী পরেছে সোমবার, সুতরাং মায়ের গমন গজে বা হাতিতে।