বাঙালির নাকি পায়ের তলায় সর্ষে!!!!!! বছরে দুই বার নিদেনপক্ষে একবার তার একবার ঘোরা চাই।যতই ব্যাঙ্গ করো পেটরোগা বাঙালি কিন্তু ঘোরার ব্যাপারে বাঙালির প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র বাঙালি। কিন্তু যদি ঘোড়ার জায়গা হয় কোনো গা ছমছমে নিষিদ্ধ অঞ্চল!! যেখানে সময় মনে হয় একই জায়গায় থমকে আছে। এরকমই এক অঞ্চল হলো ইউক্রেন এর প্রিপিয়্যাট শহর।
ইউক্রেন বলতে আমাদের মনে আসে আসে সুন্দরী মেয়ে,সুন্দর প্রকৃতি, বরফ ঢাকা রাস্তা আর ভদকা। কিন্তু এই দেশেই আছে ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রিপিয়্যাট শহর।
কিয়েভ শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে,১৯৭০ সালে তৈরি হওয়া এই শহর ছিল একদমই নুতন এবং তৎকালীন আধুনিক সুবিধা যুক্ত।এই শহর মূলত তৈরী হয়েছিল চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য।
৭৫০০০ লোক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন এই শহর ছিল খুশির শহর। কিন্তু এই শহরেই অকস্মাৎ নেমে আসে শশানের নিস্তব্ধতা। আধুনিক বিজ্ঞানের ভুলের মাশুল দিয়েছিল এই শহর তার সবকিছু খুইয়ে।
চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহরটি ছিল প্রিপিয়্যাট। সেখান সময় এখনো ১৯৮৬ সালে যেন থমকে আছে।
প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের ফলে এখানকার বাসিন্দারা পালাতে বাধ্য হয়েছিল খুব অল্প সময়ের মধ্যে। কেউ হয়তো রান্না করছিলো বা কোনো শিশু হয়তো খেলছিল বা বিনোদন পার্ক যখন লোক সমাগমে ভরপুর, ঠিক সেই অবস্থাতেই তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে।
স্পটটি এখন বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত পরিত্যক্ত জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। জায়গাটি বর্তমানে ভৌতিক স্মৃতি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। স্কুল ,বাড়ি, খেলনা, বিনোদন পার্ক সব ঠিক একই ভাবে হিমশীতল এবং ক্ষয়িষ্ণু ভাবে পরে আছে । বাস্তবে, ইউক্রেন এটিকে অফিসিয়ালি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তালে এবার হবে নাকি একটা এডভেঞ্চার?
Comments are closed.