আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিপুল সম্পত্তি লোপাট

কদম কদম বাড়ায়ে যা……… শুনলেই কেমন শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে বা হালফিলের আমাজন প্রাইম এর ফোর্গটেন আর্মি দেখলে শরীর এর রোমকূপ খাড়া হয়ে ওঠে আর মাথা নত হয়ে যায় সেই সব অজানা বীরদের প্রতি যারা এক অসম্ভব কে করেছিলো সম্ভব। হাঁ বলছি আজাদ হিন্দ ফৌজের কথা। আমরা বর্তমানে এই ফৌজর সম্মন্ধে অনেকটাই জানি আবার জানি না অনেকটাই। কেন? কারণ পরিকল্পিত ভাবে জানানো হয়নি আমাদের।
সেইরকম না জানা এক দিক আজ তুলে ধরবো।

নেতাজির ডাকে যেমন প্রচুর মানুষ এই ফৌজে ভর্তি হয়েছিল তেমন ধনী গরিব নির্বিশেষে দান করেছিল ধন সম্পত্তি। কিন্তু গেল কোথায় সেই সম্পদ?
অনেকে বলেন নেতাজি তার শেষ যাত্রায় নিয়ে গেছিলো অনেক সোনার অলংকার যা বিমান দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়!!!!কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সে রকম কোনো দুর্ঘটনায় ঘটে নি।

মুখার্জি কমিশন তার রিপোর্ট ও উল্ল্যেখ করেছে সে রকম কোনো দুর্ঘটনায় ঘটে নি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার সেদিন বা খুব কাছাকাছি সময় এ তাইহুকু বিমানবন্দরে কোনো দুর্ঘটনায় ঘটে নি। তালে কি দাঁড়াচ্ছে?? নষ্ট হয়ে গেছে সোনার অলংকার গুলো পুরোপুরি সাজানো।


এবার আশাযাক বিখ্যাত নেতাজি গবেষক ড: পূরবী রায় এর কথায়। তিনি দেখা করেছিলেন কর্নেল হুঘ টোয়ে এর সাথে,যার উপর দায়িত্ব ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের খোঁজা আর গ্রেপ্তার করা,তার বয়ান অনুযায়ী ১৯৬৪ সালে তিনি সিঙ্গাপুরে জওহরলাল নেহরু, মাউন্টব্যাটেন এবং মালেয়ান গভর্নর এর হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের ৭২০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করেছিলেন!!!! আচ্ছা তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নি নেতাজির বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল তাও কি সম্ভব মাত্র দুটো চামড়ার ব্যাগে অত পরিমান সোনাদানা নিয়ে যাওয়া!!!!!!


এছাড়া অন্যান্য গবেষক যেমন অনুজ ধর ও অন্যান্য নেতাজি গবেষকদের গবেষণায় এই বিপুল সম্পত্তি গায়েব হয়ে যাওয়া উঠে এসেছে। আর প্রায় প্রত্যেক গবেষকের গবেষণাই অন্যান্য অনেকের সাথে দুটো নাম কমন ।কারা??? শ্বেতশুভ্র পরিধানিত মিস্টার জওহরলাল নেহরু আর তার খুব কাছের বন্ধু মিস্টার লর্ড মাউন্টব্যাটেন।


তাহলে কি দাঁড়ালো? নীরব মোদীরা সব দশকেই এই দেশে ছিল আর বহাল তবিয়তেই ছিল।